বদ্ধজল পেছনে রেখে স্রোতস্বিনীর দিকে হাঁটা দিলে মুখ ভার করে থাকে যারা, তাদের জন্যে কোনো মায়া আর অবশিষ্ট নেই বলে পেছনে তাকানোটুকু ভুলে গেছি, এত যে রতিবাঁক ঠাক ও ঠমক যুবা ঘূর্ণি অকূলে, লাফিয়ে ওঠা স্রোতের লতানো দেহে খেলে যাওয়া রৌদ্রশৃঙ্গারগুলো চিকচিক করে ওঠে, শিকলের ঝনৎকার শুনে শুনে কত আর সম্ভাবনার শুধু গলা টিপে যাব, গতির বয়স সবে শুরু হলো, এই তো শিখছি সবে শরীরের ডানবাম, চোখের উপর-নিচগুলো
আঁখিপর্দার ওপারে যে গোলকধাঁধা নড়ন্ত স্রোতের গান বুনে যায় ঢেউয়ে ঢেউয়ে, ঊর্ধ্বে তা বিপুল এক গতি ধরে আছে, নোনা সে দ্বীপের শেষে জেগেওঠা সমীরের পালে চড়ে ফিরে, খুঁজে চারুনাবিকের হারা দিশা
নয়ন নেই আর কোনো নয়নের স্থলে, সময়ে অনেকটুকু নড়ে গেছে, গতির চিবুক ছোঁয়া সেয়ানা মোহিনী ঘোর বস্তুসভ্যতার, আমরা কি সবে বহন করে যাচ্ছি না তার দীর্ঘ ও বিস্তৃত লেজের দম্ভভার, তবু অনড় পণের চোখে থুথু ছুড়ে ক্ষণ-ও-পল-কে গুণে পথে নামা জেনো, মোহিনীবিলাপগুলো ভুলে যেতে একদিন দরকারি মনে হবে
Jan 26, 2008
মোহিনীবিলাপগুলি
Posted by
মুজিব মেহদী
at
1/26/2008
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ফেইসবুক প্রতীক
ওয়েবগ্রুপ
|
কবিতাকথা |
Visit this group |
No comments:
Post a Comment