Jan 26, 2008

প্রান্ত ছুঁয়ে থাকা

ডানে কর্ম না-ফুরাতে বামে ফুরায় জীবন, একজীবনে এই হা-হুতাশ সঙ্গী হয়ে র’লো, জল খেতে কষ বেয়ে একটুখানি পড়ে যায় নিচে, ও-ঘটন উপজাত, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজাত টেম্প ফাইলগুলোই সর্বদা বেশি জায়গা নিয়ে নেয়, সড়ক দুর্ঘটনা থেকে ভিআইপি সাইরেন, অন্ধকারে কামার্ত রব, বিড়ালচোখা রাত্রির আলো, শাখার প্রমত্ত টান, আরো কত কী যে

এসব বর্তমানের কাছে নাজেহাল হতে হতে কেবল অতীতই বর্তমান আছে এরূপ মানসাবস্থার একজনের কাছে মেলে স্বতন্ত্র জানালার সন্ধান, সে কেবল মাকড়সার জাল সরানোর মতো করে একটুখানি প্রান্ত ছুঁয়ে থাকা, বোটলব্রাশতলায়

‘না’জনিত একটা মাত্র বেদনা, ওকে আমলে নিয়ে বিকল্প খতিয়ে না-দেখা একধরনের দুঃখবিলাস, আর দুঃখ একদম সইতে পারে-না-জনরাই সেরা দুঃখবিলাসী হয়, একথা লেকের জলে পড়া সদাকম্পমান দুঃখী মুখচ্ছবিগুলোতে নাকি লেখা হয়ে আছে

অ্যাডজাস্ট করে নেয়াটাই আসলে বড়ো কথা, চিরকালীন, যারা সেটা পারে তারা ক্রমশই আরেকটু ভেতর দিকে হাঁটে, কখনো-সখনো তলা অব্দি কখনো-বা সারফেস জয় করে আসে, আর সহসা যাদের দফারফা, তারা থামে যারতারমতো

সম্বিত সবসময় একরকম থাকে না কারো, বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে তাকাতে হয়, অথচ প্রতিটা বিষয়ের পিছনে এত বেশি বেদনামূর্ছনা লুকানো থাকে যে একটা মাত্র ডিটেলেই ফুরিয়ে যেতে পারে গোটা একটি জীবন

No comments:

ওয়েবগ্রুপ

Google Groups
কবিতাকথা
Visit this group