Jan 26, 2008

জলসিন্দুকের চাবি

কোটিকাল স্তব্ধ ছিল জলের সিন্দুক, হাট হয়ে খুলে গেল গোপন দরজা, চমকালো যে ছিল যেখানে লঘু মৎস্যকন্যারা, কালে কালে বিদ্রোহ সংবাদে যেভাবে চমকে ওঠে গণবিমুখ সব রাষ্ট্রসংঘ

নাচুনে বাতাসেরা জলময় শুয়ে গেলে জলের শরীরে আসে যৌবন, পঞ্জরাস্থি জেগেওঠা হাঁপানি রোগীর মতো আমাদের বোবা-কালা নদীদের বুকে জাগে কুলুকুলু ধ্বনি, বহুক্রোশ দূর থেকে গয়নানৌকায় চড়ে বেড়াতে আসে চাঁদবউ, মাথার ওপর দিয়ে উড়ে তার নিশাচর আশাপক্ষীদল, বেধড়ক আলিঙ্গন চেয়ে তারা বাতাসের বস্ত্র ধরে টানাটানি জুড়ে, বলে হবেই হবে

নিচে অদূর অতলে বাজে আদিমান রত্নবেরাদর, তন্দ্রাচ্যুতরা উঠে আনন্দে নেচে বসে লাঞ্ছিত সমীর সকাশে, আসে প্রত্নবিদেরা, আসে সোনারুরা, কাদামাখা ইতিহাসবিদ, তারপর রাতারাতি জাদুঘর

এই যে আমরা, কামনালিপ্তরা, বহুরূপ জাদুঘর ঘুরেছি জীবনে, কর্মের চেয়ে বেশি মুখচ্ছবির প্রতি দেখেছি অকারণ ঝোঁক, মানুষের চেয়ে তার ব্যবহার্যের প্রতি-- এরূপ ঘষাখাওয়া রুচির লক্ষণা-ব্যঞ্জনা দেখে আমরা ঠাহর করি, নিখিলবিশ্বে বুঝি মিথ্যার অধিক কোনো প্রকৃত জাদু নেই

চাবিতর্কে জানা যায়, মাছশিকারিরাই জোসে সাজিয়ে রাখে এই গোপনায়োজন, এরকম গ্যাঁড়াকল ফেঁদে কোথায় কাদের লাভ, কোথায়-যে লোকসান, বুঝেও বুঝি না, এ তথ্য জ্ঞাত হতে আমরা সেবার দলে পুরো শীত কাটিয়েছি শীতলক্ষ্যাতে আর জরিপ করেছি জল নিদারুণ অলীক খায়েশে

No comments:

ওয়েবগ্রুপ

Google Groups
কবিতাকথা
Visit this group