Jan 26, 2008

সমুদ্রে

এই মাটি, ঢেউয়ে ঢেউয়ে সমুদ্র দিয়েছে-- টোলঘর, ঝাউবীথি ও কোকের পাহাড়ে বিলি কেটে আজ তার সমূহে নেমেছি, ভেজা ও চলনক্ষম বালিতে বালিতে, দূর সব দিগন্ত-আমোদী রচনায়, নিখিল সংগীতে

সমুদ্রজলের গর্জন আসলে এক নীরবতা, মনে এসে মিশে গূঢ় মন, দূরের জাহাজ, দেহে খসে আরদেহ রতি, উড়ন্ত চিলের পালক

ফেনাময় সমুদ্রপাড়ায় কোনো বিয়ারের ক্যান খোলা হলে, প্রথম সাপোর্ট আসে সমুদ্র থেকেই, জলের বর্তিত গতি মনে হয় বয়ে চলে লোকহিতব্রতে

২.
বিদেশ-বিভুঁ’য়ে এই লাভ হলো-- গর্জনশীলা এক সমুদ্র পেয়েছি বুকে, তার ওপরে হাওয়া, অফুরান শীৎকার

আদি পৃথিবীর স্যুভেনির বয়ে আনে এই বিশালতা, কুড়িয়ে-বাড়িয়ে সেসব জমা করে রেখে দেই বিশাল তোমার নামে, বিশালের নামে নিবেদিত এইসব ভালো, এই মন্দ, সূর্য সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢেউয়ে ঢেউয়ে বহুকাল নৃত্য করে যাবে

৩.
বিশালতা কাকে বলে বুঝেছি সমুদ্রে নেমে, পৃথিবীর তিনভাগ জল মানে কত বারি বুঝেছি সেটাও, তবুও সাহস করি অনুভবে অতল ছোঁবার

দূরত্ব আসলে খুব কম তোমার সাথে আমার, মাঝখানে বয়ে গেছে ছোট নাফ নদী, অভিমান মোটে এই একটিই

বিশালতা বুঝি বলে বড়োর ছোটত্ব বুঝি, ফাঁকি বুঝি, ভেতরে যে মন থাকে, সেও-তো তিনভাগের চেয়ে বেশি জায়গা জুড়ে আমার, কখনো তুমি তা জেনেছিলে

আমি তো পাখির বড়োত্ব মেপেছি চিরকাল, আকাশের বাটখারা দিয়ে

1 comment:

Ishtiaq Rouf said...

ভাল লাগলো।

ওয়েবগ্রুপ

Google Groups
কবিতাকথা
Visit this group