Jan 26, 2008

একটি শব্দঅধ্যাস

সারারাত দাওয়ায় বসে গুড়গুড়িতে তামাক টানে যে সে অনুচর কার, আত্মার-- সেই কখন থেকে আছি কান পেতে একা ঘুমের জানালা থেকে, অধোমুখে, এলিয়ে পড়া আমার এই সমূহ আগ্রহ আজ পূর্বজগণের সব নাম এবং ধামের দিকে ঝুঁকে আছে ঝুমকোজবার মতো, আমি যার কিছুই জানি না প্রায়

পিতামহ, জানি, তামাক ছেড়েছিলেন মৃত্যুরও ম্যালাদিন আগে, মনে কি করব এটি প্রপিতামহের কাজ তবে, ঘোড়ায় চড়ে যিনি আসাম যেতেন আর ফিরতেন লালবাহাদুর হয়ে, অথচ ঘোড়ায়ই, তিনিও ছিলেন কিনা তামাকসেবী কেউ, জানি না তা, বাবাকে জিজ্ঞেস করে এ খবর জানবার আমার আগ্রহ নেই মোটে, আমি কি তবে ডাক দিয়ে বলব যে মৃত্যুর ওপার থেকে আসা চর তুমি যেই হও, তামাকটা শব্দ না-করে খাও, আর বলে যাও, চেনো কি না যাদের আমি উত্তরাধিকার বহন করি জিনে জিনে, কোন সে অর্বাচীনে, গহনগ্রহণে, বছুরে মড়কের ভয়ে ছেড়ে এল ওপারের মাঠ, ফসলের মাটিলতা ঘোরে অশোক পালের মঠে, পশুবিক্রির হাটে হাটে ভেষজবন্যায়, বন্যা সেবার ওই অতবড়ো প্রবীণ গ্রামের দেহে, ভেসে এলে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে বটের ঝুরির সাথে, ব্রহ্মের পুত্রের ঘন কাঁচামিঠা স্রোতে, ঠেকেছ কি ললিত এ পাহাড়ের গায়ে, অবশেষে

আমারে জানাও তবে আজ এই অজানার ভুরু, স্নিগ্ধ মনস্কাম, চোখে-কানে-নাকে-ত্বকে-জিহ্বায় লুকানো যত লাবণ্যপ্রতিভা, জেনের সরস রসে ভিজে যাওয়া মনে, উড়ুউড়ু বাতাবি বাতাসে, লেবুতলে থিতু কোনো ধ্যানমগ্ন বিকেল বেলায়, সামাজিক বানের কাছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাওয়া একান্ত গচ্ছামি, হাম শরণং, বুদ্ধং... শব্দব্রহ্মাদি

No comments:

ওয়েবগ্রুপ

Google Groups
কবিতাকথা
Visit this group