Jan 26, 2008

ভিখিরির রাজ্যপাট

সাহস করে শুরু করা লাগে, শুরুটাই আসল, এ বোধটিই মহার্ঘ্য সবচেয়ে, ওই তরীতে চড়েই যাওয়া যায় ভাষার ওপারের কোনো বচনহীনতায়, অনুভূতি দিয়ে যেথা স্বপ্নবুনন, ও সুরটি গাওয়া-থোওয়া হলো না বিশেষ, হাতকণ্ঠ জাপটে ধরে আছে মনোকঠোর এক বাধা, এরপরও সুযোগ থাকে, থাকে সামাজিকতাও, ভেতরে ভেতরে এটি খুব বিমর্ষতাবোধ, বাইরে না-বোঝা গেলেও, পরে শেখা কিন্তু কাজ করে আগে, একে তুলাধুনা না-করে দেয়া গেলে, মঞ্জিল থেকে ম্যালা দূরে তাঁবু খেটে’ থেকে যেতে হয়

ভাষা নাকি কল্পনা ওর মন কেড়ে গেছে সেটা বিবেচ্য হতো না, যদি জগতে পছন্দভেদকে একটা মাত্রা হিসেবে তুলনা করবার সুযোগ না-থেকে যেত, এর সাথে চলার ও বলারও থাকে যোগ আর সাজশ, বহুদিন একসাথে থেকে গেছে যারা, একাকী দেখে নি যাদের কেউ, তাদের যৌথতাকে বুঝতে হলেও এককাস্তিত্বের প্রতি তাকাতে হয়, নইলে কেমন খাপছাড়া ও ভুলে ভরা লাগে সব, দু’য়ের আলাদা মহিমার অনেকাংশই তা না-হলে চিরকাল চাপা পড়ে থাকে, শেষপর্যন্ত একাকিত্বই প্রিয় মুহূর্ত সবার, যদি একা হওয়া সত্যিই থেকে থাকে, শরীরে ও মনে

আমাদের অনেকেরই মোটে একা হওয়া নেই, অত সহজ নয় বলে কেউ কেউ ভুল বোঝে একা হওয়া মানে, কারখানার ভেঁপুর চেয়ে বাতাসের হ্রেষাধ্বনি একা হওয়া আগে শুনতে পায়, ওদিকেই অবস্থিত ধ্যান-রাজ্যপাট, স্থান এজন্য জরুরি বিষয় খুব, এ ভেদে রকমফের আছে মাত্রার, ধ্যানঘরগুলোর অবস্থান দেখে বোঝা যায়, ধ্যানীরা বন আর পাহাড়ে বেশি আগ্রহী, গাছ আর পাথর কি তবে ধ্যানী সবচেয়ে, দেখে শেখার এই কি তবে শেষ আশ্রয়, বনে বা পাহাড়ে যাদের অ্যাকসেস নেই, তাদের কী হবে ভাবতেই দেখি যে এরও কিছু বিকল্প আছে মানবভূগোলে, বানপ্রস্থে বা সন্ন্যাসে না-গিয়েও, সংসারে থেকে, সুরে ও নিশীথে, তবু মানতেই হবে একা হওয়া এ সমাজে বিরল ঘটনা এক

বন্ধ্যানদীর তীরে দাঁড়িয়ে যতটা দূর ভাবা যায়, তার শেষপ্রান্তে আছে সব ধরনের সক্ষমতার দিকে স্বপ্নকে মুচড়িয়ে নিয়ে ডাঙায় তোলা, এরকম রাখালি আমি বহুদিন করে যেতে চাই, পাজন হাতে, তারই নিমিত্তে আজো ভেড়ার পালের সাথে মাঠে মাঠে ফিরে করি ঘাসের কারবারি, অলস দিনে যাবতীয় স্যাঁতসেঁতে স্থানে যেসব নিরুৎসাহ মাশরুমের মতো গজিয়ে উঠেছে, তার সব বোকা ও অননুসন্ধিৎসু, এটা ভেবে মনটা তখন খানিক স্বস্তি পায়, মাটিতে থুবড়ে যাওয়া সবকটা ভাঙা নৌকাকেও তখন বেশ নান্দনিক বলে মনে হয়

No comments:

ওয়েবগ্রুপ

Google Groups
কবিতাকথা
Visit this group